কালবৈশাখী
কলমে: অনুপ কুমার পাল
আজ বোধহয় বৃষ্টি হবে
কালবৈশাখীর মেঘ জমেছে আকাশে
নিঃশব্দের নিজস্বতার মাঝেই ব্যাঙের কোলাহল
দূরে কোথাও পাখির কিচিরমিচির
হয়তো তোমার বাড়ির ঝুলবারান্দায় খুনসুটিতে মগ্ন
উদাস বিকেলে তুমিও হয়তো ভাতঘুমের বৃথা চেষ্টায় ব্যস্ত
আমার বিকেল ফিকে রোদ্দুরের মত
জানলা দিয়ে কেবল মাঠ দেখা যায়
দুটো তালগাছ আর বাবুই পাখির বাসা।
আর সেই বাঁকা নদী।
যেখানে জোছনা ভরা রাতে চাঁদের লুকোচুরি খেলা দেখতাম,
প্যাঁচার আচমকা ডাকে দুজনের চটকা ভাঙতো
হিমেল হাওয়ায় ভরিয়ে দিত মন
আমার কাঁধে এলিয়ে দিতে শরীর
এলোচুল হাওয়ায় দুলে দুলে উড়ত।
খামখেয়ালী স্বপ্ন দেখার স্বভাব এখন নেই,
ভাঙা বেহালার তারে শতাব্দী প্রাচীন মরিচার ক্ষত
বেদনা প্রকাশের ভাষা হারিয়েছে নির্জীব কন্ঠস্বর
আমার মন এখন গোধূলি বেলার আকাশ
রঙিন তবুও ক্ষণস্থায়ী , মরিচিকার মত।
প্রতিবন্ধী মন এখন বাস্তবতা বোঝে
অন্ধকার মেঘ , কালবৈশাখী কাটলেও
মনের ঝড় থামবে না
সে ঝড় চলবে অনন্তকাল।
যতদিন বেঁচে থাকব
প্রতিটা মুহূর্তে ঝড়ের দাপট
আমাকে ভাঙতে চাইবে।
হয়তো একদিন ভেঙে চুরমার করে দেবে
সেদিন তোমার মনের কালবৈশাখীর প্লাবন চলবে
আর আমি কালবৈশাখীর মতই ------------।
0 Comments