একটা রাস্তা চাই
একদিন তোমায় জিজ্ঞেস করেছিলাম
এত যে পুজো আচ্ছা করো ,
রোজ রোজ উপোস কর
ভগবানের কাছে কি চাও এত?
তুমি হঠাৎ যেন উদাস হয়ে গেলে
অবিন্যস্ত চুলগুলোর ফাঁকে তোমার মুখটা
যেন বিষন্ন বিকেলবেলা।
ঝড়ের পূর্বাভাস নয়তো
ভয় পেয়েছিলাম ভারী।
কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে তুমি
ধীরে ধীরে বললে
একটা রাস্তা চাই !
ফাঁকা রাস্তা , যেখানে কোনো যানজট নেই ,
যে রাস্তা কখনো শেষ হবে না।
দুপাশে থাকবে সারি সারি গাছ।
চারিদিকে সবুজের সমারোহ ,
পাখির কলকাকলিতে এক অদ্ভুত ভালোলাগা তৈরি হবে মনে
সেই রাস্তায় তোমার হাত ধরে হাটতে চাই ।
অনন্ত কাল ।
আমি অপলকে তাকিয়ে ছিলাম সেদিন
নীরবে কেঁদেছিলাম।
মনের গোপনে প্রশ্ন করেছিলাম হাজারবার,
এতটা ভালোবাসো আমায়?
কিন্তু বলতে পারিনি,
না কখনোই না।
তোমার ভালোবাসা আমার বাকরুদ্ধ করে দিয়েছিল।
আমি মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম।
তবে তুমি সেদিন মিথ্যে বলেছিলে
আমাকে ঠকানোর কি এতটাই দরকার ছিল
ভালো তো আমিও বেসেছিলাম
মন আমিও দিয়েছিলাম
আজ নীরব ব্যালকনির বিষন্নতা ঘিরে ধরে
চিলেকোঠা জুড়ে মনখারাপি মেঘ
তোমার রাস্তা তুমি পেয়েছিলে
সেই পথ ধরে এগিয়ে গেলে একাই ,
চিরদিনের জন্য ,
আমায় রেখে গেলে স্মৃতির লাইব্রেরীর মাঝে
এক ঘনীভূত দীর্ঘনিঃশ্বাস
প্রতিনিয়ত বাড়ছে মনের ক্ষত
আমিও আসছি প্রিয় ,
তুমি কি অপেক্ষায়
তোমার স্বপ্নের রাস্তায়, স্বপ্নের অনুভূতি নিয়ে?
0 Comments