তোমাকে চাই
অনন্যাহঠাৎই নর্দমায় খসে পড়ে স্বপ্নমাখা ফ্যাকাশে নক্ষত্ররা,
তাদের মন ছিলো শ্বেত পদ্মের মতো মলীন-
এখন তাঁদের চোখে জ্বলন্ত মৃত্যুর রশ্মি ঠিকরে পড়ছে,
করবির ডালে সন্ধ্যাকালে আর লক্ষ্মী পেঁচা ডাকে না!
ময়ূরাক্ষী এখন আর শান্ত শাঁখে-র ফুঁ তে বয়ে চলে না।
সেখানে চারিদিকে বিসর্জনের বাজনা,হৃদয় শ্মশানবাসী।
দু-দানা সাদা ভাত খুঁটে খাচ্ছে সর্বহারা নক্ষত্ররা।
পাড়ার মোড়ে হাসির বদলে- তর্কের পারদ তুঙ্গে,
ঝাঁঝালো চাহনিতে ভালোবাসা পুড়ে ছাই,
শহরতলীর হাওয়ায় আজকাল বড় বিভীষিকার গন্ধ।
হে মানবতা তুমি শেষ ধ্রুবতারাটিকে বাঁচিয়ে রেখো,
দুধের ফেনার মতো যেন উতলে পরে একদিন-সুখের সুর।
তার হাত ধরে
ভ্রষ্টনীড়,ভীতশরীর,ভূখ
মিছিলে নতুন জীবন আসুক।
বহুদিন ধরে অপেক্ষা করছি, ভালোবাসা তোমার জন্য- রোজ বকুলের মালা গেঁথে একবার জলে ভাসাই,
সেটি গ্রহণ করে একবার ফিরে এসো এই পৃথিবীতে_
একবার ফিরে এসো নিভৃতে আমার কাছে।
অন্ধ পুরি যে আর ভালো লাগেনা,
আমাদের শ্বাস ফিরিয়ে দাও,
আমাদের চোখ ফিরিয়ে দাও,
আমাদের হাসি ফিরিয়ে দাও।।
0 Comments