আমি ছিলাম শ্রোতা ।
মুগ্ধ হয়ে যেতাম তোমায় দেখে ,
তোমার কথায়,
তবুও বলিনি কখনো,
বলতে পারিনি ।
তোমার হাসির ঝংকারে যখন
ধানক্ষেতে চরতে আসা পাখি উড়ে যেত,
তাদের কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হত চারিদিকে।
অবাক চোখে তাকিয়ে থাকত
মাঠে চরতে আসা গরুর পাল।
সেই অনুভূতি , সেই সুন্দর দৃশ্য
আমি মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করতাম।
সবটা লিখেছি ডায়রিতে ,
তবু বলা হয়নি তোমায়।
বলা হয়নি অনেক কিছুই,
যা শুধু আমার নিজস্ব অনুভূতি।
যখন কোনও ধ্রুপদ খেয়ালে তুমি মগ্ন।
হয়তো বাতায়নে আছো বসে ।
বাতাসের আলতো পরশে ,
তোমার এলোচুল দুলে দুলে উড়তে থাকে,
তখন তোমার উদাসী মুখের দিকে
তাকিয়ে থাকতে বড্ড ইচ্ছে হয়।
তখন হয়তো ক্ষনিকের জন্য আমিও হারিয়ে যাই
কোনও এক অন্য দেশে ।
অন্য জগৎ , রূপকথারা যেখানে জন্ম নেয়।
শব্দ জটের জটিল কোনও শব্দে
যখন তোমার বুদ্ধির অস্ত্র ব্যার্থ হতে থাকে বার বার।
কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে।
হয়তো বিশ্বাস করবে না তুমি,
তবুও এক অজানা আকর্ষন অনুভব করি,
মনে হয় কত কালের চেনা ।
অতি আপনার , আপনজন।
বৃষ্টি স্নাত সন্ধ্যায় যখন তোমার ইচ্ছে রা ,
মনের অজান্তেই ছেলেবেলায় ফিরে যায়।
যখন টুপটাপ বৃষ্টির পরশ মেখে ,
বৃষ্টির তালে তোমার নূপুরের ধ্বনি বাজে।
তখন যেন তোমায় নতুনভাবে দেখি,
নতুনভাবে ভালোলাগে ,
ভালোবেসে ফেলি তোমায়
তবুও আমি নীরব থাকি।
কিছুই বলা হয়ে ওঠে না।
শ্বেত শুভ্র রজনীগন্ধা ফুলের মালায়
যখন মালাবদল হয় ,
যখন সাতপাকে ঘুরে এসে
করজোড়ে নতজানু ,
জানো তখন আমি বাকরূদ্ধ !
অথচ সেদিনই বলতে চেয়েছিলাম,
বলতে চেয়েছিলাম অনেক কিছুই,
বাঁধতে চেয়েছিলাম আমার বাহুডোরে।
সেদিন আমি কয়েকশো ক্রোশ দুরে,
তোমার ফোনের ঘন্টা চলল বেজে।
তুমি তখন নিয়ম রক্ষায় ব্যস্ত
অন্য রকম খুশির আমেজে।
আজও রজনীগন্ধা ফুলের মালায়
তোমায় প্রতিদিন সাজাই
মোমবাতির আলোয় আলোকিত হয় মুখ
হাসিমুখে আজও তাকিয়ে থাক তুমি
আমার হাতে তোমার দেওয়া প্রথম ও শেষ চিঠি
যখন দীর্ঘদিনের অনিয়মে হাসপাতালের সস্তা বেডে শুয়ে
মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছ প্রতিনিয়ত,
তোমার মেয়ের হাতে পেলাম সেই তোমার চিঠি
লিখেছিলে বছর কুড়ি আগে।
ছুঁটে গেলাম , কিন্তু না
হল না , বলা হল না সেদিনও
ভালোবাসি, ভালোবাসি।
5 Comments
সুন্দর❤❤
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
Deleteধন্যবাদ ❤💙
DeleteBesh valo hoyeche
ReplyDeleteধন্যবাদ 😊
Delete